রূপক চট্টোপাধ্যায়
রূপক চট্টোপাধ্যায় অষ্টপ্রহরের গান ১) জলচরিত লিখেছো দিগন্তে বসে ভিজতে চাইনি,তবু ডুবিয়ে দিলে দহন। উপুড় নদীর পিঠে নৌকা ভ্রমণ আঁকো রাখো গ্রামীণ কথা, কাঠবাদামের বন! ২) ট্রেন ফেলে গেছে মেঘলা স্টেশেন চোখের তারায় ঈশানকোণের আলো।
অমিত পাটোয়ারী
অমিত পাটোয়ারী শূন্যবন্দর ভোর দিলে এমন উজ্জয়িনী, ভাঙবে না কেন যে জঠর! রোদ পেলেই শিশুমৃত্যু, মাতৃজ্বালা, যুবতিকালে ঘোর… তন্দ্রা হয়ে জন্ম হয়ে প্রজাপতি পঙ্গু হয়ে আসে এ হাত থেকে ও হাত নদী, এ দেশ থেকে ও দেশ করাল গ্রাসে সেই
বর্ষা সংখ্যা # ২
গল্প ও মুক্ত গদ্য ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য অনিন্দিতা দে কবিতা বিজয় সিংহ হিন্দোল ভট্টাচার্য পার্থজিৎ চন্দ অদিতি রায় সুদীপ চট্টোপাধ্যায় অনুপম নিয়োগী অরিত্র দ্বিবেদী কস্তুরী সেন বেবী সাউ উৎপলেন্দু পাল
উৎপলেন্দু পাল
উৎপলেন্দু পাল বৃষ্টি লিখবো বলে আমি এক পশলা বৃষ্টি লিখতে চেয়েছি চিরকাল লিখে উঠতে পারিনি আজও — মৌসুমী বায়ুর সাথে উড়ে খুঁজেছি ছন্দ ও অলংকার থমকে গেছি পর্বতের ঢালে , মেঘ থেকে মেঘান্তরে খুঁজে বেড়িয়েছি শব্দ ভান্ডার শুধু বজ্রাঘাতই পেয়েছি বার
বেবী সাউ
বেবী সাউ কামসূত্র ১. মঙ্গলাচরণ প্রেমের ভেতর হাঁটতে শুরু করলে সহজ হয়ে ওঠে সময় প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দর প্রতিটি শব্দ ধ্বনিময় এযাবতকাল জমে থাকা ঈর্ষা এবং দ্বেষ ভেঙে কাছে এসেছে সে ঠিকানাবিহীন আমি তাকেই ঠিকানা ভেবে শান্ত চিঠি লিখি…
কস্তুরী সেন
কস্তুরী সেন বাসাংসি জীর্ণানি রমণী নতুন তার ওষ্ঠে নাম মধুবাসনার – তোমাকে নতুন নামে ডেকে উঠল যেই লক্ষ পায়রা উড়ে গেল, বক্ষে বক্ষে মধুতর দোল! বুঝি বক্ষ খসে পড়বে ওর মধু কালচক্ষে দেখে? নাকি চক্ষু অন্ধ আর বন্ধদ্বারে ঘোরস্বভাবিনী ওকেও শিখিয়ে দেব
অরিত্র দ্বিবেদী
অরিত্র দ্বিবেদী আমি আর সে জেগেছ ধরার বুকে আজ সূর্য জ্বলেন নিজ তেজে ঢালো জল আগুন নেভাতে ব্রহ্ম কমল নিলে হাতে সে কমলে শপথ গ্রহণ পুরনো ঋষির মতো মুখে আলিঙ্গন বাঁধনে বাঁধ রেখে দাও
অনুপম নিয়োগী
অনুপম নিয়োগী দিনলিপি ১ বাতাসের গন্ধ পাল্টে যাচ্ছে ক্রমশ। একই পাতায় সুখ ও অসুখের চেনা মুখ বাড়িয়ে তুলছে বয়স। তবুও জঙ্গলে যাই। জীবনের অভিমুখ খুঁজি। সময় চেনাই সন্ততিকে। লিখে যাই যা কিছু সম্ভাবনাময়,অক্ষয়। সময়ের অনন্ত প্রবাহে প্রতিটি বীজ আসলে লিখে রাখে পুনর্জন্মের
সুদীপ চট্টোপাধ্যায়
সুদীপ চট্টোপাধ্যায় জ্যোতি নিজেরই স্বভাবদোষে জটিল হলাম। হলাম মন্থরপ্রিয় এখন এই বোঝা বইতে বইতে কতদূর যাব? জানি, আমার চিন্তার শেষে দাঁড়িয়ে আছেন সূর্যরথ মৃতদের কানের পাশে অস্ফুটে বহুবার বলার চেষ্টা করেছি মানুষ ভালো নেই, তথাপি তাদের ক্লিন্ন হাসির ভেতর আমার বিশ্বাস নড়ে ওঠে,
অদিতি রায়
অদিতি রায় ইন্টারভিউ মেয়েটার জামায় কিছু শুকনো ফুল, বেরঙা। বুঝি বা বহুবার সস্তার সাবানে কেচে অধোমুখ, শুকনো মলিন। মেয়েটা মুখ তুলে তবু বলে- “আমাকে নিন” আলো তো গোলাপী নয়, আলো খুব উজ্জ্বল প্রখর। দামী গ্লাস, কাঁচ-ঠান্ডা জল, স্রুত স্বচ্ছতায় লুকাতে চায়