Email: info@kokshopoth.com
August 18, 2025
Kokshopoth

চন্দ্রাণী গোস্বামী

Aug 7, 2025

চন্দ্রাণী গোস্বামী

বৃষ্টি অঝোর

আমার বিষন্ন জন্মদিনে রৌদ্র দেখলে, গা জ্বালা করে।

 

যেদিন দুপুর আর বিকেলের মাঝের ফাঁকা অংশে

আমাদের দেখা হয়েছিল, সারাক্ষণ বৃষ্টি হল—-

                             বৃষ্টি আর হাওয়া। ঝোড়ো-সময়।

 

জানতে না, এরপর আর কোনোদিন দেখা হবে না আমাদের?

 

বিদায়ের মুহূর্ত নির্জন হলে কান্নার শব্দ

স্পষ্ট শোনা যায়। অথচ হাওয়ার শব্দে

বৃষ্টির শব্দে নির্জনতা ভেঙে ভেঙে…

 

এতটা উচ্চকিত রৌদ্র দেখলে আমার সেদিনের অসহায় কান্নার জন্য খুবই আফসোস হয়, খুব আফসোস হয়।

 

বরিষ ধারা

তোমাকে দেখলেই ঠোঁটদুটো বিড়বিড় করে…

 

কথা আছে, প্রেমিকের মৃত্যু হলে সমাধি হয় না

দুই ভুরুর মাঝে জমা ব্যথায় চন্দন হয়ে এসো

চোখের পাতায় আগলে রাখা নদীজলেও —

                      এর বেশি কী বা আর বলার আছে!

 

যেটুকু বাকি রয়ে গেছে …

                                  মৌরিফুল ফুটে ওঠার মতো

শব্দহীন মুগ্ধতায় সাজিয়ে রাখি বিবাহবাসর।

 

                                             কালো পাথরের গায়ে

এঁকে রাখি বিষহরির গান। সারসের চোখের গভীরে

ডুবে থাকা মগ্নতার মতো স্থির তোমায় লিখে রাখি

অজানা শ্লোকে।

                   

                                আমি বৃষ্টিই ছিলাম। ভালোবাসা

ছুঁয়ে দিতে আমিও জানি। তবুও টুকরো হতে হতে

হারিয়ে গেছি সন্ন্যাসী বিকেলের দিকে…

                                        

                                 ঘাতক ছিলাম কি আমি! নাকি

আলোর চেয়েও কঠিন। অথচ এমন গভীর স্তব্ধতা তো

পছন্দ ছিল না —-আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *