Email: info@kokshopoth.com
October 13, 2025
Kokshopoth

তৃষ্ণা বসাক-এর মায়া গদ্যঃ- মায়া-মফস্বল ও ক্যাংলাস পার্টিরা – দ্বিতীয় ভাগ

Sep 26, 2025

তৃষ্ণা বসাকের মায়া গদ্য

তৃষ্ণা বসাক আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি অতিপরিচিত প্রিয় নাম। জন্ম কলকাতা । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.ই. ও এম.টেক.। সরকারি মুদ্রণসংস্থায় প্রশাসনিক পদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শী অধ্যাপনা, সাহিত্য অকাদেমিতে অভিধান প্রকল্পের দায়িত্ব – বিচিত্র ও বিস্তৃত কর্মজীবন। বর্তমানে পূর্ণ সময়ের লেখক ও সম্পাদক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস প্রবন্ধ মিলিয়ে গ্রন্থ সংখ্যা ৬৫-রও বেশি। সাহিত্য অকাদেমির ভ্রমণ অনুদান, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার সহ পেয়েছেন অন্যান্য বহু পুরস্কার। হিন্দি, মালয়ালম, ওড়িয়া ভাষায় গল্প অনূদিত। মৈথিলী থেকে অনুবাদ ও কল্পবিজ্ঞান রচনায় সাবলীল ।

# ৩

আহাহা চক্ষু দুটি বাঁচিয়া গিয়াছে!

 

মৃত্যু নিঃসন্দেহে খুব সিরিয়াস ব্যাপার, তা নিয়ে ক্যাংলাস পার্টিদের কী-ই বা বলার থাকতেই পারে ? তবে খুঁটিয়ে দেখলে মৃত্যু ব্যাপারটার মধ্যে একটা বেশ কমিক রিলিফ পাবেন। আমার জীবনের প্রথম মৃত্যুচেতনার মধ্যে অবশ্য বেশ হতাশাব্যঞ্জক ব্যাপার আছে। সেই যে আনন্দময়ী পাঠশালায় ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ার সময় একটি ছেলে পেছনের পুকুরে ডুবে গিয়েছিল আর আমি খুব আশা করেছিলাম সে মরে যাবে আর ইস্কুল ছুটি হয়ে যাবে। কইমাছের জান নিয়ে আসা ব্যাটা মরল না, ইস্কুল ছুটিও হল না, মাঝখান থেকে আমি কলঙ্কিত নায়ক (মতান্তরে নায়িকা) হয়ে গেলাম। যার কাছেই এই ঘটনাটা বলে বাহাদুরি নেবার চেষ্টা করেছি, সে-ই আমার দিকে শুধু যে কটমট করে তাকিয়েছে, তাই না, আমাকে তারপর থেকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছে, যেন আমি কোন মারাত্মক খুনী। অথচ খুনের সঙ্গে মরে যাওয়ার কোন সম্পর্কই নেই। নইলে  আমাদের মায়া-মফস্বলে একজন খুন হয়েছে শুনে ঝিল্লির ঠাকুমা গালে হাত দিয়ে বলতে যাবেন কেন ‘ওমা খুন! মরে যায়নি তো?’

বালাই ষাট! মরবে কেন? খুনই তো শুধু হয়েছে। নাটকের কত খুনের দৃশ্যে দেখেছি  খুন হওয়া লোকগুলো পর্দা পুরো ফেলার আগেই গটমট করে হেঁটে চলে গেল। আ মোলো যা! খুন যখন হয়েছিস, এত অধৈর্য হলে চলে? পরদা পড়া অব্দি শুয়ে থাকলে কী হত? নাহ, কাটা সৈনিকের চরিত্রে অভিনয় করা অত সহজ নয়।

মৃত্যু নিয়ে প্রথম দার্শনিকতা শোনা, লাঙ্গলবেড়ে গ্রাম থেকে আসা বাবার ছোটমাসির মুখে। বাবা চলে গেছেন মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে, সামনে আমার উচ্চ মাধ্যমিক আর জয়েন্ট এন্ট্রান্স,  বাবাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে স্কুল কলেজ না মাড়ানো এই মহিলা বলেছিলেন –‘আজ মরলে কাল দুদিন’। এত সহজ কথায় মৃত্যুর বাস্তবতাকে তুলে ধরতে আর কখনো শুনিনি। মনে পড়ে যায় রামপ্রসাদকে-

‘যার জন্যে মরো ভেবে সে কি তোমার সঙ্গে যাবে? সেই প্রেয়সী দেবে ছড়া অমঙ্গল হবে বলে/ ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়, মিছে ভ্রম ভূমণ্ডলে।‘

শ্মশানে তো দাহের পর নাভি জলে ফেলে কলসি ভেঙে চলে আসতে হয়, একবারও পেছনে না তাকিয়ে। কারণ ওই যে আজ মরলে কাল দুদিন। আসলে জীবন আর মৃত্যু পাশাপাশি হাঁটে। চায়ের দোকানে যেমন কত অচেনা লোক পাশে বসে চা খায়, খবরের কাগজ পড়ে, মোদী-মমতা নিয়ে উত্তেজিত মতামত দ্যায়, তারপর চায়ের পয়সা মিটিয়ে চলে যায় যে যার গন্তব্যে, মৃত্যু ঠিক তেমনি। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। একে শ্রাদ্ধের কার্ডের মতো সাদা কালোয় ছেপে, কোণে ওঁ গঙ্গা লিখে অযথা মহিমান্বিত করার কারণ নেই।

মাঝে মাঝে মৃত্যু খুব হাস্যকরও হতে পারে। কুন্দেরার লাফেবল লাভের মতো লাফেবল ডেথ।  সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম  আমাদের নিচতলায় সত্য, জ্ঞান আর শান্তি ভাড়া আসার পর। নামগুলো বানিয়ে বলছি না,  কোন দার্শনিক কবিতাও লিখছি না। দক্ষিণের কোন গ্রামের, বোধহয় হোটর হবে, সেখান থেকে কলকাতায় অফিস যাতায়াতের অসুবিধে হবে বলে প্রথমে সত্য ও জ্ঞান দুই ভাই আমাদের নিচতলায় ভাড়া এল, কিছুদিন পরে এল তাদের বোন শান্তি, আর মাঝে মাঝে আসত তাদের ছোট ভাই গৌতম। এই চারজনের মধ্যে  সর্বকনিষ্ঠ গৌতমকেই সবচেয়ে স্থিতধী মনে হত। বাকি তিনজন দেখা গেল কমবেশি ছিটগ্রস্ত, প্রায়ই তুচ্ছ কারণে ঝগড়াঝাঁটি, রান্না না করা, আরেকজনকে ঢুকতে দেবে না বলে তালা মেরে চলে যাওয়া- এসব নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। আমাদের বাড়িতে ভাড়াটে এলে যেমন হয়, পুরোটাই লসের খাতায়, কারণ মা প্রায়ই তাদের ডেকে  দুপুরে ও রাতে খাওয়াতেই থাকে, সেসব চলছিল। তবু এরা কেমন যেন পোষ না মানা প্রকৃতির। তার ওপর এদের বেশ জ্ঞান দেবার প্রবণতাও আছে। যেকোন বিষয়ে এরা অনেকক্ষণ বকে যেতে পারে। একদিন অবাক কাণ্ড, জ্ঞান আমাকে ডাকল ছবির অ্যালবাম দেখাবে বলে। গেলাম। বাবার মৃত্যুর ছবি দেখাবে শুনে আমি যথোচিত শোকাচ্ছন্ন মুখে দেখতে বসি। দেখতে দেখতে শোকের পর্দা ফেটে যায় হাসির চোটে, অথচ হাসতেও পারছি না। বেটারা করেছে কি, মৃত বাবাকে ধুতি পাঞ্জাবি পরিয়ে চেয়ারে বসিয়ে, চারপাশে ভাই বোনেরা ঘিরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে। আর প্রত্যেকের চুল পরিপাটি আঁচড়ানো শুধু না, একেবারে থার্টি টু অল আউট, হাসি দেখে মনে হচ্ছে বাপের বিয়ে খেতে এসেছে। আমি বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে তাকাতেই তারা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘আসলে বাবার সঙ্গে কখনো ছবি তোলা হয়নি তো । ক্যামেরাম্যান এল যখন, ভাবলাম, এক খরচায় ভালো করে ছবি তুলে নিই’ একে বলে শাক কে শাক, পেছনে মুলো! এখনকার লব্জে যাকে বলা হবে ভ্যালু অ্যাডিশন!! এরপর থেকে যখনই কোন বয়স্ক মানুষ মারা যান, আমার সেই মৃতদেহ চেয়ারে বসিয়ে ছবি তোলার কথাটা মনে পড়ে। একই সঙ্গে করুণ ও হাস্য রসের সমাহার।

আর মৃতদেহের ছবি তোলা মানেই মনুমামাকে মনে না পড়ে যায় না। হটুগঞ্জের এক এবং একমাত্র স্টুডিওর মনুমামা, যে ফোকাস ঠিক করতে ঘণ্টা তিনেক নিত। অবশ্য মৃত মানুষের বেলায় স্বভাবতই এত সময় লাগত না। কারণ মরা মানুষের একটা সুবিধে আছে। সে নড়েও না, চড়েও না, ঘেমে নেয়েও যায় না, হিসি করতেও ছোটে না। যাকে বলে ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি। সেইসব আদর্শ সাবজেক্ট শিকার করার সময় মনুমামা উত্তেজিত হয়ে বলে ফেলত ‘ইস্মাইল প্লিজ!’ তাতে দোষের কিছু নেই। একজন বলেছিল হিট অব দা মোমেন্টে বাবাকেও শুয়োরের বাচ্চা বলা যায়!

 

মনে রাখতে হবে আমি যথেষ্ট বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের মৃত্যুর কথাই বলছি। এঁদের শ্রাদ্ধের মেনু ঠিক করার মধ্যেও কমিক ব্যাপার থাকে। প্রত্যেকেই নিজের পছন্দের খাবার লিস্টে ঢোকাতে চায়। এই বিষয়টা আমি প্রথম খেয়াল করি দাদুর শ্রাদ্ধের সময়। দাদুর দশ পুত্র কন্যা, তিন বউমা, এক জামাই, এবং গুটিকতক নাতিনাতনি মিলে শ্রাদ্ধের মেনু ঠিক করতে বসে প্রত্যেকেই দেখছিলাম নিজের পছন্দের খাবার তালিকায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে এই বলে ‘বাবা এইটা খেতে বড় ভালবাসতেন’ এইভাবে লুচি রাধাবল্লভী, নবরত্ন পোলাও, ভেজিটেবল চপ, ধোঁকা, এঁচড়, ছানার ডানলা, কাঁচকলার কোপ্তা, বেগুন বাসন্তী ইত্যাদিতে দেখা গেল প্রভু জগন্নাথের ভোগেও অতগুলো আইটেম হয় না।শেষ পর্যন্ত প্রচুর মনোমালিন্য এবং ঝগড়াঝাঁটির পর পকেটসই কিছু হয়েছিল, মনে আছে। আমি ভেবেছিলাম নিম বেগুন আর পাঁপড়ের ঝাল এই তালিকায় ঢোকাব, তার আগেই সব ফাইনাল হয়ে গেল।

 

তবে এটা ঠিক, অধিকাংশ সন্তানই বৃদ্ধ পিতামাতার শ্রাদ্ধ খুব ভালভাবে আয়োজন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু আয়োজন ঠিকঠাক হল কিনা এই নিয়ে তাঁদের চিন্তা থেকেই যায়। এই চিন্তা থেকেই বোধহয় জনৈক পিতৃহারা ভদ্রলোক কোন নিমন্ত্রিত ব্যক্তি শ্রাদ্ধের ভোজের খুব প্রশংসা করলে, ছলছল চোখে আবেগপূর্ণ স্বরে বলেছিলেন ‘এ  আর এমন কি মেসোমশাই? বাবা থাকলে আর ভালো করে খাওয়াতে পারতেন!’

নিমন্ত্রিতদের মধ্যে কারো কারো  দেখবেন খুব ইচ্ছে হবে মৃত্যু কীভাবে হল জানতে। সে ইচ্ছে এতই প্রবল যে তারা কিছুতেই শান্তিতে লুচি ছোলার ডাল খেতে পারবে না, তাদের জ্ঞানতৃষ্ণা অবিকল নচিকেতার মতো, যে যমকে মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করে করে এমন উৎখাত করে দিয়েছিল যে যম তাকে রিটার্ন ফ্লাইটে উঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। তা এইসব লোকজন করবে কি, কোন রকমে খেয়ে উঠেই এঁটো হাতে মৃতের সন্তানের কাছে চলে যাবে, সে তখন হয়তো শ্রাদ্ধের কাজ সেরে সবে একটা সন্দেশ মুখে দিতে যাচ্ছে। কিন্তু সেসব পরোয়া না করে এই জ্ঞানপিপাসুরা গিয়ে বলবে ‘পিতা কী করে মারা গেলেন?’

সে সন্দেশের এক্টুকরো ভেঙে ছলছল চোখে বলবে ‘সর্প দংশনে’

এতেও তাদের জ্ঞানতৃষ্ণার নিবৃত্তি হবে না। তারা এর পরে জানতে চাইবে  ‘কোন সর্প? কোথায় দংশন করল?’

এই প্রশ্নের আগেই তাড়াতাড়ি সন্দেশের টুকরোটা মুখে পুরে ছেলে শোকাকুল মুখে বলবে ‘কপালের ঠিক মাঝখানে’

এতক্ষণে শান্তি হল যেন। সে বা তারা তখন  তৃপ্ত  এবং উল্লসিত হয়ে, যেন বিরাট একটা আবিষ্কার করে ফেলেছে,  বলে উঠবে ‘আহাহা চক্ষু দুটি বাঁচিয়া গিয়াছে’

এইসব দেখেই বোধহয় রথের মেলা দেখতে যাওয়া ছেলেটি অত সংক্ষেপে সেরেছিল। হয়েছে কি দুই বন্ধু রথের মেলা দেখতে গেছে। দেখার শেষে পেল্লায় এক কাঁঠাল কিনেছে। মাঠে বসেছে কাঁঠাল নিয়ে, সঙ্গে মুড়ি আছে। দেখে কি আরেকজন গপ গপ করে খাচ্ছে, সে বেচারা অত দ্রুত খেতে পারছে না। তখন সে বুদ্ধি করে জিগ্যেস করল ‘তোর বাবা কী করে মারা গেল রে?’

তাতে অন্য বন্ধুটির কাঁঠাল খাওয়ার গতি কমে গেল। সে ছলছল চোখে বলতে শুরু করল বাবার মৃত্যুর বৃত্তান্ত। কী অসুখ করেছিল, কত ডাক্তার কবিরাজ হেকিম করেছে, কত ওষুধপালা টোটকা করেছে- কিছুই বাদ দিল না। তার যখন খেয়াল হল কী ফাঁদে পড়েছে, তখন কাঁঠাল আর বিশেষ অবশিষ্ট নেই। সে হাঁকপাক করে মুখে কাঁঠাল পুরে বলল ‘তোর বাবা কী করে মারা গেল বল এবার?’

‘আমার বাবা? ফুলল আর মরল’

যদি এই  গ্রামের ছেলেটিকে আপনাদের হৃদয়হীন মনে হয়, তবে সেই শহুরে  শিক্ষিত ছেলেটিকে কী বলবেন? যে বাবার খোঁজে আসা এক ভদ্রলোককে ড্রয়িংরুমে বসিয়ে পরিশীলিত গলায় বলেছিল ‘বাবা তো এখন আসতে পারবেন না কাকু, উনি একটু মারা গেছেন’

মনে পড়ে গেল শেয়ার বাজারে কাজ করা এক বন্ধুর গল্প। সেখানে তার সঙ্গে শর্মা বলে একটি ছেলে কাজ করত। বসের অনুপস্থিতিতে তাঁর ফোন ধরতে হত তাঁকে। একবার, একজন বারবার ফোন করছে, বস নেই, বলার পরেও করছে। ল্যান্ডফোন, ব্লক করার গল্প নেই, সে তিতিবিরক্ত হয়ে ফোন ধরে বলল ‘কাকে চাইছেন?’

‘মি মিত্তল আছেন?’

‘উনি মারা গেছেন’

‘মানে! এই তো ঘণ্টা দুই আগেও কথা হল। কী বলছেন কি?’

‘ও আপনিই সেই লোক! আপনার ফোন পেয়েই তো উনি বুক চেপে বসে পড়লেন। সঙ্গে সঙ্গে শেষ। কী বলেছিলেন কি মি মিত্তলকে? ‘

সেই ভদ্রলোক অন্তত সেদিন আর ফোন করেননি!

4 Comments

  • ঠিক করেছি,মায়া-মফসসলের… প্রথম মায়ার খেলার সঙ্গে যাপন করব,তারই মধ‍্যে জেগে উঠল দ্বিতীয় ভাগ। সেই একই রকম মেজাজ,যেখানে না রাঁধা ইলিশ ফেলে জন্ম হওয়া সেই বালিকাটির ক‍্যালাডোস্কোপিক নির্মল নির্মাণে গড়ে উঠেছে এক রম‍্যকাহিনি।সেখানে জানার আছে গদ‍্য লেখার ইতিকথা।প্রাণহীন নয়।বাঙ্ময় হয়ে আছে প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্কের মাধুরী।

    • বেশ মজার ঘটনাবলীর সমাহার। ভালই লাগছে। এগিয়ে চলুক।

  • অসাধারণ লেখা।

  • অসাধারণ গদ্য। লেখার মুন্সিয়ানা তেমনি সুন্দর। এ লেখা পাঠকপাঠিকাদের বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে। আমি পড়েছি, আবারও পড়ব।

Leave a Reply to অমিতাভ সরকার Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *