Email: info@kokshopoth.com
October 13, 2025
Kokshopoth

কবিতাগুচ্ছঃ শিবালোক দাস

Sep 26, 2025

কবিতাগুচ্ছঃ শিবালোক দাস

“আমি একজন তরুণ কবি। শৈশব কেটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরে। বর্তমানে কলকাতার আই.পি.জি.এম.ই.আর. এবং এস.এস.কে.এম. হাসপাতালে এম.বি.বি.এস ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে কর্মরত । ক্লাস এইট থেকে কবিতা চর্চা শুরু। সাহিত্যকে ভালোবাসি এবং আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকাশিত গ্রন্থ নেই।“

চশমা

চাও না প্রতিফলন,

চাও না অতর্কিতে সাড়া,

বিদ্যুতে বিদ্যুতে মুছে ফেলা

সে নকশা কি তোমার ঢেউয়ের

খবর রাখে ?

 

শব্দ খুঁজে নাও অতলে,

যদি মনে মনে আঁকো আগুনপাখির ধার…

 

উড়ে যাব ধূসর ঠোঁটে আঙুল

রেখে, কারুকাজে অভিশাপ ফেলে…

 

 

শুশ্রূষা 

 

তরঙ্গে পূর্ণ হল শুশ্রূষা…

অবশ্যম্ভাবী নয় বরং এমতাবস্থায়

তাকে দিই এলোমেলো হরফ,

বলি, জাগাও, এ পোষ্যরূপ তোমার

জন্য ভালো নয়…

যতদূর পেয়েছ, হেঁটেছ বুকে

নিয়ে, তবে কেন এত দ্বিমত ?

 

ইঙ্গিতে দাও, পরম হোক ভাস্কর্য…

দিন বদলেছে, বদলেছে হাজার

ব্যবধান, আলোর নিরিখে শরীর

কেবলমাত্র জলস্পর্শ…

ইঙ্গিতে পাতো কান, শীর্ণকায় দিকে

পাল্টেছে খেলা।

 

রক্তিম হতে হয়, শুধুমাত্র আলাপে

মরে যাব বলে–

অতঃপর, তোমাকে করতলে রাখি,

কদর্য স্বচ্ছতা থেকে তুলে !।

 

 

বীজমন্ত্র 

 

বসে আছি।

হঠাৎ এ দুটি হাত বিন্দু বিন্দু

জলে পরিণত হল….

এতদিনের সঞ্চয়ে কেন 

দৈব করলে আমায় ?

কেন আনলে আবার চৈ-চৈ ?

 

লঙ্ঘনে লঙ্ঘনে এখনো বিহ্বল

সে রাত, সে রাত আমার প্রথম

বিদ্যুৎ…

আর কোথাও নেই চরাচর..

নতজানু শব্দের মধ্যে নিঃশব্দে ডেকে

ওঠে কেউ, যতদূর ছড়িয়েছে ঘাস ও

ফুলের দ্বন্দ্ব…

বসে থাকি সে দ্বন্দ্বের ভেতর, অবসানে

শুধুই ঢেউ…

স্থবির হয়ে তুমি যে বিদ্রোহ খোঁজো,

তার নিপাট শরীরে এত লবণ, এত 

স্বাদ, এত কারুকাজ, এত বিচ্ছুরণ…

 

চোখ বুজে আসে। 

 

যে তোমাকে পূর্ণ করে, অপর্যাপ্ত

নদীর শিয়রে, 

সেই আমাকে হাঁটতে শেখায়…

 

মুগ্ধ করে….

 

 

পিতৃদোষ

 

কাকের শরীর, একবার তোমার

হাতে রাখো, ক্ষুধা ও ক্ষমায়

পেরিয়ে যাওয়া দরজা গোনে

প্রথম প্রমাদ।

ছিঁড়ে যাওয়া জলবিন্দু জানে

কতবার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে

মেঘে মেঘে নামাতে চেয়েছি

প্রভাত সঙ্গীত…

 

তবুও, যা দীর্ঘ, তা নিমিত্ত মাত্র।

 

লম্বা হতে হতে ছড়িয়েছে বুকের

পালক, উষ্ণ হতে পারেনি…

 

ডুবেছে শিহরণে রোমাঞ্চিত সূর্য !

 

 

বৃত্ত

অভ্রান্ত নয় কিছু।

কলঙ্কে ঢেলে দিয়েছ শত

ভ্রমণ…

লিখে রাখি, পড়ি অলক্ষ্যে

হাড়ের অন্তরে ক্ষীণ ডাক,

আগুনপাখির !

 

স্নান সেরে উঠে এসো…

দুহাতে খুঁজে নিতে চাও যদি–

ছড়িয়ে যাক পাঠ, ঘোরতর স্বাদ,

উপমায় রোজ মরতে থাকি।

 

অভ্রান্ত নয় কিছু–

যা আছে বিপরীতে তার,

ভোর থেকে নক্ষত্র-জন্মে

হারিয়ে যায় নিভৃতে বৃত্তখানি….

 

উন্মুক্ত ভাঙনে বিলীন তোমার

রক্তশূন্য ছন্দ…

 

 

 

কিঙ্কর

 

ফিরি রোজ, তোমার জলেই;

যতটুকু রক্ত ফুটে ওঠে…

ফিরি রোজ…

 

মহিমায় যদি অপবিত্র হও,

তবে সে নিবিড়তা তোমাকে

কোনোদিন শ্যামল করেনি, করেনি

হত্যা…

নাম নিতে নিতে তুমি চুম্বন করো

সাগর, লবণে দীর্ঘ আলোড়ন ভুলিয়ে

দেয় গানে গানে একদিন কিঙ্কর

কিভাবে আলো হয়ে গেছিল মধ্যরাতে…

1 Comment

Leave a Reply to এই সংখ্যা – Kokshopoth Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *