ইন্টারভিউ
মেয়েটার জামায় কিছু শুকনো ফুল, বেরঙা।
বুঝি বা বহুবার সস্তার সাবানে কেচে অধোমুখ, শুকনো মলিন।
মেয়েটা মুখ তুলে তবু বলে- “আমাকে নিন”
আলো তো গোলাপী নয়,
আলো খুব উজ্জ্বল প্রখর।
দামী গ্লাস, কাঁচ-ঠান্ডা জল, স্রুত
স্বচ্ছতায় লুকাতে চায় লজ্জিত ফুটপাত-পা,
কিনে নিচ্ছে শরীর অধিক তার,
(বাড়িতে আরো লজ্জিত মা)
তাই শ্রম কিনে নিচ্ছে জলদরে
এরা, মানে বণিক-মহল।
পছন্দ হচ্ছেনা তাই জবাব দিচ্ছে- আরো ঝকঝকে!
মেয়েটার জামায় কিছু ঝরন্ত ফুল,
এইটা সাকুল্যে শেষ জামা,
পাতাবাহারের জন্য আরো কিছু বৃষ্টি লাগবে ঊষ্ণ পৃথিবীতে,
মাখন বুলাতে হবে পেটে আর
ট্যান পড়া ফেটে যাওয়া কৃষ্ণকায় ত্বকে।
সন্ধ্যেবেলা ক্রমে ক্রমে
মুদে আসছে নয়ন নবীন
ফিরতি ট্রেনে গান গাইছে অন্ধ হাত,
“আমাকে দিন”!
তোমার সঙ্গে
এমন আশ্চর্য ভ্রমণ প্রতিবার একবারই হয়
এই কথা তোলা থাকে ফের-না-হওয়ার এক কুয়াশা সিন্দুকে
ওষ্ঠে বা করপুটে যেখানেই হেঁটে যাই পুণ্য, নিরয় তোমার প্রদত্ত শ্লোক ফুটে ওঠে আজীবন স্তবকে স্তবকে
এমন আশ্চর্য ভ্রমণ কী জানি যে কতবার হয়
যে বলেছে নীলিমার একবার দেখা যায় মুখ
সেও কী জানেনি ক্ষণ প্রতিক্ষণে বদলায় রূপ?
পালটায় আকাশের গাঢ় মন – বেগুনী কুহক?
তোমার স্পর্শ এই একবারই পড়ন্ত আলো
তোমার অধিক স্পর্শ হয়তো বা রয়ে যাবে আরও-
তবু এ হলুদফুল, বিশুষ্ক বিকেলের অজানিত সংশয় ভালো,
এস তাই হাতে হাত, রুমাল সরিয়ে রেখে ঘাসে বসে রই।
1 Comment
[…] অদিতি রায় […]