# ১
কবিতা
একটা কবিতার উপর আর একটা কবিতা
হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
তার উপর আবার আর একটা…
এত কবিতা কোথায় চলেছে?
বিশেষত, এ’ পাড়ায় যখন
সরু এবং চাপা রাস্তা!
# ২
প্রেমিক
রাম রাম… আওড়ে বড়জোর
রত্নাকর থেকে বাল্মীকি পর্যন্ত যাওয়া যায়।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ… বলে নিমাই থেকে চৈতন্য।
এবার একবার তবে
ভালবাসি, ভালবাসি…
জপে দেখ
তুমি পৌঁছে যাবে, প্রেমিক!
# ৩
সময় রেলগাড়ি…
ঘাড়গুঁজে বসন্তের কবিতা লিখছি…
‘দু-এক দিনের মধ্যে লেখা দিতে হবে’-
সম্পাদকের তাড়া কাঁধে চেপে আছে।
এদিকে, দুঃখ অপেক্ষা করতে থাকে
দরজার বাইরে। সময় রেলগাড়ি…
আমি কী-করে দেখা করব, বলো?
# ৪
পারাপার
কোনো কোনো মুখের সঙ্গে, অবিকল বন্ধুর মুখ
মিলে যায়। মিলে যায়, তাকানো, হাসি,
পাহাড়ি পিচরাস্তা ভুরু…
তবু, কোথাও একটুখানি ভুল থাকে। আর
তার ভিতর ভাঙা একটা সাঁকো; যেখানে
পারাপার এসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
# ৫
পরিবার-চূড়া
আমাদের পরিবার-পাহাড়ের চূড়া ছিলেন বাবা।
পোশাক বলতে, বরফের মতো সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি;
আর স্বভাবেও একেবারে হিম-ঠান্ডা!
আমরা দূর থেকে অবাক হয়ে দেখতাম,
মা-আলো তাঁর উপর পড়লেই, কেমন
সোনা-রঙে ঝলমল করে উঠতেন!