পারভীন সুলতানার গল্প
উড্ডীন রিকশা ও ভ্রমণরত জোছনা সূর্য ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে আসমানের পেট বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আগুনটা যদি কেবল ওখানেই জ্বলতো কারও কিছু আসতো যেতো না। বিশেষ করে রহিছ আলীর। ওর আঠারো শেষ হওয়া উনিশের শরীরে এমনিতেই যথেষ্ট গরম! এখন এই উদাম মাঠে সুরুজের তেলেসমাতি
অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামীর আত্মজৈবনিক কলম
কলকাতা-দর্শন কলকাতা পৌঁছতে ক্ষিতির এক বছর দেরি হয়ে গেল। লোকে তাকে যতোই দুষুক, সে তো জানে সবই কপালের গেরো। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই অ্যাডমিট কার্ডটা হারিয়ে গেল। রেজাল্ট বেরনোর পর কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলোয় ভর্তির ফর্ম আনতে যাওয়ার আগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল
সর্বজিৎ সেন-এর নিবন্ধ
কিছু ক্যানারি পাখির কথা সর্বজিৎ সেন অনেক সকাল মনে থেকে যায়। থাকবেই। রোদ্দুরের বা বৃষ্টিভেজা সোঁদা গন্ধের সকাল। বাড়ির বারান্দায় ঝুপ করে কোন কাগজ এসে পড়ার শব্দ। কাগজের অদ্ভূত গন্ধ। নিউজপ্রিন্ট। দেশ বিদেশ একসঙ্গে ফ্রন্ট পেজে – উত্তেজিত মুখে বাবা কাকার এক কাগজ
দেবদত্ত চক্রবর্তীর কবিতা
দেবদত্ত চক্রবর্তীর কবিতা জন্ম ১৯৬৮। বরাক উপত্যকার কবি। হাইলাকান্দি এস এস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। তাঁর কবিতা ইতঃমধ্যে আসাম এবং কলকাতার বহু পত্রপত্রিকায় এবং কবিতা সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘সখি মুদ্রা তুমি পারাপার’, ‘বিনা অস্ত্রের ঘায়ে দিশাহারা’, ‘এবং সমাদৃতা’। রাত্রি ১ এক
দেবযানী দাস সিনহার কবিতা
দেবযানী দাস সিনহার কবিতা কবি ও প্রাবন্ধিক দেবযানী দাস সিনহার জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৩ শে অক্টোবর বীরভূম জেলার কুরুমগ্রামে। বাবা সত্যরঞ্জন ও মা কণিকা দাস । পেশাগত জীবনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা ছিলেন। নেশা–কবিতা, নাটক । খুব ছোটবেলায় অকালপ্রয়াত দাদা দীপ্তেন্দুর অনুপ্রেরণায়
তীর্থঙ্কর দাশ পুরকায়স্থ-র তিনটি কবিতা
মুখ নিভে যায় মাঝে মাঝে মনে হয় অজান্তেই জমে গেছে ঋণ, জীবন হতো না দীর্ঘ পথের মতন যদি না বাতাস কিম্বা জলের মতন সহজিয়া কিছু গান রয়ে যেতো, নিঃশুল্ক বাতাস যেমন লঘুভার, যদৃচ্ছ স্বাধীন ।
বৈভব বসুর কবিতা
বৈভব বসুর কবিতা কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার তরুণ গবেষক। কবি ও কবিতা পাঠক। অন্যান্য সখের মধ্যে, ফটোগ্রাফি, ছবি আঁকা, খেলাধুলো এরকম অনেক কিছু। কবির নিজের উচ্চারণেঃ বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে…। হরিণ তার শিং খুলে রেখে চোখ খুলে রেখে শেষরাতে একরত্তি প্যান্ডেলের টিমটিমে ঠাকুর দেখে ভাবছে এই-ই
হামিরুদ্দিন মিদ্যা-র গল্প
জাদুকর দামোদরের পাড়ে ছোট্ট এই গঞ্জটার নাম নিত্যানন্দপুর। আশেপাশে সব চাষিবাসী মানুষদের বাস। পলিমাটি সমৃদ্ধ উর্বর এলাকা। চাষবাস ছাড়াও কিছু মানুষ মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে। কেউ কেউ ব্যবসা-বানিজ্য করে, কেউ যায় দক্ষিণ মুলুকে কোনও হোটেল বা কোম্পানির কাজে। কিছু মানুষ ছুটে শিল্পনগরী