চন্দ্রাণী গোস্বামী
চন্দ্রাণী গোস্বামী বৃষ্টি অঝোর আমার বিষন্ন জন্মদিনে রৌদ্র দেখলে, গা জ্বালা করে। যেদিন দুপুর আর বিকেলের মাঝের ফাঁকা অংশে আমাদের দেখা হয়েছিল, সারাক্ষণ বৃষ্টি হল—- বৃষ্টি আর হাওয়া। ঝোড়ো-সময়। জানতে না, এরপর আর কোনোদিন দেখা হবে না আমাদের? বিদায়ের
মোহনা মজুমদার
মোহনা মজুমদার অভিকর্ষ প্রতিপাদ বিন্দুতে ভ্রম হয়ে দাঁড়ায় যে পথিক আমি তার সম্মুখে আরও অন্ধ হই , ভ্রমরব্যাকুল আত্মপ্রতিকৃতি দহনের কোনো দেশ হয়না যেমন পোড়ায় যতো , নিজেও পোড়ে অধিক তোমায় তবে আগুন বলেই ডাকি একথা জানার পর চিবিয়ে খাও রক্তের স্বাদ পুড়িয়ে
সব্যসাচী মজুমদার
সব্যসাচী মজুমদার চেনা ভাষার মতন চেনা ভাষার মতন তোমার সন্তান, তোমার রোদ্দুর, তোমার আখ্যান — সব দেখতে পাচ্ছি। তুমি ফিরে পেতে চাইছ বনবাস, ধ্যানের মুদ্রাগুলো। তুমি পেতে চাইছ তোমার স্বাভাবিক আক্রমণ ও স্তোত্র। বুঝতে পারি, এই নস্ত্রাদামুস, এই উপকাহিনিরা তোমার মনের
রুমেলা দাশগুপ্ত
রুমেলা দাশগুপ্ত কী নামে চিনেছ তবে? বলতে ইচ্ছে হয়, তোমাকে দেখেছি বিরহে ঘিরেছ মেঘ, ধারণ করেছ সে রূপ অনতিক্রম্য, কালো মেঘে তুমি কোনো নাম, শুকনো কাপড় উড়ে গ্যালো যেই আমিও স্থির- জল নেই, সেতু নেই, বাড়ি নেই শুধু দুটো ডাঙ্গা, আমি জলের
অমিতাভ সেন
অমিতাভ সেন তামান্না বরিষনে যেন করুণ, মলিন, শস্যময় প্রান্তরের অপেক্ষমাণ, প্রিয়হীন আবাস! দংশনের চিহ্ন চুচুকে, অবনত আশ্লেষে… হেলায় হারায় তামান্না ধর্মগ্রাসী উল্লাসে। হরফ মোতাবেক গাঁথা মাল্য ঝরে কেবল অকালকুসুম উরসে… অহেতুক জননে। ভূমি
সুতপা চক্রবর্তী
সুতপা চক্রবর্তী জলসই ১. তোমার গোড়ায় জল দিলাম তুমি আমার গোড়ায় জল দিও। এই বলে প্রতিটি বৃক্ষে জল ঢালে কন্যা তার চুল এই জলে এলিয়ে পড়ে বৃক্ষ মনে মনে আরও জল কামনা করে বসে কন্যার নিকট কন্যার সানুদেশ জুড়ে শুরু হয় বরিষণ চিবুকের
অরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
অরূপ গঙ্গোপাধ্যায় জলস্মৃতি জলের ভেতরে খুঁজি অধরা শরীর কোথায় জলের দোষ, কোথা তার স্বেচ্ছাচার, সমস্ত ভাঙনের কাছে, জানা দরকার আজ! একদিন সবুজ ছিন্ন করা বিপর্যয় ক্রমশ সর্পিল পথে গৃ্হস্থের ঘরে সিঁড়িতে আশ্রয়—স্টোভ কেরোসিনে, হাতে মুড়িটিন আর একখানা
বর্ষা সংখ্যার অতিথি সম্পাদক রাধাবল্লভ চক্রবর্তীর কলম থেকে
বর্ষা সংখ্যার অতিথি সম্পাদক রাধাবল্লভ চক্রবর্তীর কলম থেকে এই সংখ্যা বর্ষাকেন্দ্রিক; স্বভাবতই, বর্ষার অনুষঙ্গ রয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট ঋতুকে কেন্দ্র করে সংখ্যা করা নিয়ে যেমন কথা উঠতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে সেই সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট লেখাকে সেই ঋতুর উদ্যাপন করতে হবে এমন
কক্ষপথ সম্পাদকের কলম থেকে দু’চার কথা
কক্ষপথ সম্পাদকের কলম থেকে দু’চার কথা এই সংখ্যার অধিকাংকশ কাজই করেছেন তরুণ কবি রাধাবল্লভ চক্রবর্তী। রাধাবল্লভ যে এই মুহূর্তের একজন খুব ভাল কবি এ সম্পর্কে আমাদের কারোই কোন সন্দেহের সুযোগ নেই। যাঁরাই ওঁর কবিতা পড়েছেন, তাঁরাই জেনে গেছেন ওঁর কাব্যশক্তি। কিন্তু রাধাবল্লভ যে
ফিরে এসো ছাতা
বর্ষা সংখ্যা # ১ – রম্য রচনা তৃষ্ণা বসাক ফিরে এসো ছাতা সন্ধ্যে হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় একহাঁটু জল দাঁড়িয়ে গেছে। পুকুর টইটুম্বুর। মনের ভেতরটা কদমফুলের মত রোমাঞ্চিত। মাস্টারমশাইয়ের আসার সময় দু-চার মিনিট পেরিয়ে গেছে। তবু এখনও বলা যায় না। বারান্দায় চৌকি