পার্থজিৎ চন্দ
পার্থজিৎ চন্দ দৃশ্য একটাই মাত্র কাজ। আমাকে পাঠানো হয়েছিল এই বধ্যভূমিতে যে প্রকাণ্ড দরজার ওপারে নিশীথ, তার গায়ে ধাতুর নিকষ রঙ ছায়া ফেলে আছে স্তব্ধ ঝাউয়ের দেশে অক্টোপাস এসে যদি ফিরে যায়, যদি ছায়ার ভেতর থেকে কয়েক মুহূর্ত পর
হিন্দোল ভট্টাচার্য
হিন্দোল ভট্টাচার্য মাঝি তোমার দুঃখের আমি সহযাত্রী নই শুধু জল ছুঁয়ে আসি, ডুব দিতে পারিনি এখনো। ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ দেখে বিদায় জানাই… ঘাটেই অপেক্ষা করি সে কখন ফিরে আসবে, যদি লঞ্চ ছাড়ে তোমার দুঃখের আমি সহযাত্রী নই — দেখি
বিজয় সিংহ
বিজয় সিংহ বিনির্মাণ বদ্রিদাস লেন থেকে বৃষ্টিরা ফিরেছে আজ জুলাইয়ের ১২, তুমি জমানো পশুর হাড় থেকে সৌরলতার উদ্ভাস দেখেছিলে। রাত্রিকালীন অন্ধতা শস্যবীজ হাতে দাঁড়িয়েছে এভাবে এ শহর চূড়ান্ত হয় জিরাফে মধুকৈটভে অধিকন্তু মধ্যযামে চাঁদের গহ্বর, যার
অনিন্দিতা দে
অনিন্দিতা দে অলস দুপুর ও হিজিবিজি চিন্তা প্রথম বৃষ্টির আদরে বাগানের ভেজা মাটি থেকে ভেসে আসা সোঁদা সোঁদা গন্ধটায় কেমন যেন মিশে থাকে মহুয়ার নেশা। কৃষ্ণচূড়ার রং ধরেছে যে ভ্যাবাচ্যাকা গাছটায়, তার মগডালে বসে একলা পাখি একমনে মেঘ বৃষ্টির খেলা দেখে। টুপটাপ
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য কদম রেণুর দেশে আজ পয়লা আষাঢ়। আকাশটা সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন। দমকা জোলো বাতাসে ভেজা ভেজা শিরশিরানির আদুরে ছোঁয়াচ। এই দিনগুলোতে মন বড় উতলা হয়। গোটা দিনটা যেমন তেমন করে পেরিয়ে অবশেষে যখন বিকেল নামল ঘন হয়ে, বাড়ির দক্ষিণখোলা বারান্দায় এসে রোজকার
ধীরেন্দ্র আর ভুশার নস্টালজিয়া
ওবায়েদ আকাশ ধীরেন্দ্র আর ভুশার নস্টালজিয়া‘ধিরে, সুখ নাই।’[ভুশার একমাত্র ঘোড়াটি গতরাতে চুরি হয়ে গেছে। কিংবা ধারণা করা যায়, এ মুষল বৃষ্টিতে ঘোড়াটির দুরন্ত শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়।] ‘কেন?’ —বলল ধীরেন্দ্র।আবার ধীরেন্দ্র কয়, ‘তোর থেকে ত্রি-দন্ত চতুর কেউ একজন ঘোড়াটির আজকাল খোঁজখবর নেয়।’ ‘ধিরে,
অরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
অরূপ গঙ্গোপাধ্যায় জলস্মৃতি জলের ভেতরে খুঁজি অধরা শরীর কোথায় জলের দোষ, কোথা তার স্বেচ্ছাচার, সমস্ত ভাঙনের কাছে, জানা দরকার আজ! একদিন সবুজ ছিন্ন করা বিপর্যয় ক্রমশ সর্পিল পথে গৃ্হস্থের ঘরে সিঁড়িতে আশ্রয়—স্টোভ কেরোসিনে, হাতে মুড়িটিন আর একখানা
বিমান মৈত্র
বিমান মৈত্র ঋতু রূপান্তরকামী আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাবার ঝুঁকি নিই, নিতেই হয় কেননা ততক্ষণে পিছনের দরজা, যেটা আরও অটুট, আরও আস্থাভাজন মনে হতো যখন তুমি সাথে ছিলে, মুখের উপর বন্ধ হলো ঠিক যেন সে সাথে নেই যেমন তুমি ও। ওই
ওবায়েদ আকাশ
ওবায়েদ আকাশ ধীরেন্দ্র আর ভুশার নস্টালজিয়া‘ধিরে, সুখ নাই।’[ভুশার একমাত্র ঘোড়াটি গতরাতে চুরি হয়ে গেছে। কিংবা ধারণা করা যায়, এ মুষল বৃষ্টিতে ঘোড়াটির দুরন্ত শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়।] ‘কেন?’ —বলল ধীরেন্দ্র।আবার ধীরেন্দ্র কয়, ‘তোর থেকে ত্রি-দন্ত চতুর কেউ একজন ঘোড়াটির আজকাল খোঁজখবর নেয়।’ ‘ধিরে,
শামীম নওরোজ
শামীম নওরোজ বর্ষামেয়ে আকাশ জুড়ে মেঘের চাদর কখনো ধীর লয়ে কখনো প্রখর গতিতে নেমে আসে বর্ষামেয়ে প্রিয় বর্ষা, তুমি প্রকৃতির নান্দনিক কোলাহল ক্ষেতের ভেতর জল জমে পুকুরে আনন্দে নাচে হাঁসেদের জলীয় জীবন জলতরঙ্গে বাঁজে বর্ষামেয়ের নূপুর কাদামাটি