নির্মল রায়
নির্মল রায় কাটপিস ইদানিং কাঁচের জানালার ভেতর দিয়ে লালচে রোদ পেয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি ফেলে রাখা টবগুলো থেকে কিছু কথা উঠে আসছে আমার দিকে। ওগুলোতে মেরিগোল্ডের আগমনী। সকালে ঘাসের ওপর শিশিরের দানাগুলো আমার পায়ের কেডস ভিজিয়ে দেয়। মাঝেসাঝে রাতবিরোতে বিপিআই পলিটেকনিক ছাড়িয়ে
রানা সরকার
রানা সরকার বর্ষা মঙ্গল-অমঙ্গল কাব্য তাঁর বর্ষামঙ্গল কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন – ‘ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে জলসিঞ্চিত ক্ষিতিসৌরভরভসে ঘনগৌরবে নবযৌবনা বরষা শ্যামগম্ভীর সরসা’। তখন একটা সময় ছিল। যখন বর্ষাকাল ভাবলেই মনে পড়ে যায় কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা। চলতে গেলে চটি জুতো
রিটন খান
রিটন খান পঞ্জিকা বলে তারিখ, কিন্তু বর্ষা—সে বলবে গল্প আষাঢ়-শ্রাবণ জুটি, মানে বর্ষা ঋতু, গ্রামবাংলার ক্যালেন্ডারে একেবারে আবেগী এক ধারা। তিথি, নক্ষত্র, পঞ্জিকা—এসব বড়ো শহরের ধর্মানুষ্ঠান; কিন্তু গ্রামের লোকেরা প্রকৃতির পাঁজি দেখে মাসের নামকরণ করে। হ্যাঁ, যেমন আষাঢ় এসেছে অসাড়তা থেকে। বৈশাখ
এমরান হাসান
এমরান হাসান আষাঢ় আকাশ— সুপ্রাচীণ মেঘের বাড়ি যেরকম।জানে এই পুষ্পিত গল্পকথাগুলো প্রকৃত পুষ্পিত নয়,যেমন ফুলেল নয় ফুল জন্মানোর ইতিবৃত্ত।জন্ম তো সুদীর্ঘ দুঃসহ জরায়ু তীব্রতা। অনিঃশেষ ইবাদতে নামে শব্দক্রমনিকাশোনে না কেউ প্রমত্তা জলের ওঙ্কার। রাতের কার্ণিশে নেমে আসে আশ্চর্য আয়োজনে কেউ কেউবৃষ্টির জলে ভেসে
সজল কুমার টিকাদার
সজল কুমার টিকাদার নীল নবঘনে এক আষাঢ় এলে আমার রমণের কথা মনে পড়ে। ভালবাসার মানুষটি তখন ছড়ানো আকাশ… আর, আমি তার বুকে ভেসে বেড়ানো একখন্ড
পারমিতা দে দাস
পারমিতা দে দাস কাগজ বিক্রেতা আমার শোকের কথা খবরে না ছাপা হলেও চলবে। আমার বুকের বামপাশে সর্ষে দানার মত তিলটা কোনো পুরুষ ছুঁয়ে দিলে প্রজাপতি হয়ে যায়… এই রহস্য গন্ধ লেখো! এই খবর ছড়িয়ে গেলে কেউ তো একবেলা খেয়ে পরে বাঁচবে।
দেবদাস রজক
দেবদাস রজক এই অসঞ্চিত আঁধার আমাদের ফিরে যেতে হবে অনন্ত মেঘের কাছে শেষ ইচ্ছের দু’একটা অসংলগ্ন দায় থেকে গেছে এইখানে সব দায় কি নেভানো গেছে কোনওদিন? এই অন্ধকার, এই অসঞ্চিত আধার, প্রাচীন গাছেদের ছেড়ে আসা ছা-পাখির মুখরিত ডাক,
তন্ময় ভট্টাচার্য
তন্ময় ভট্টাচার্য বিপর্যয় সম্ভ্রান্ত ঘটনাগুলি। খুঁড়ে খুঁড়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার অভ্যেস জন্মেছে, গায়ে উঠে পড়ছে নমস্য মাদুলি খানিক ঘটনাচূর্ণ চুপিসারে অন্যদের ভাতে মিশিয়ে দেওয়া কি, গ্রাসে ও পাচনে যেটুকু অন্তর বড়ো হয়ে দেখা দিচ্ছে, বিনাপ্রশ্নে মেনে নেওয়া আর সম্ভব হল না;
অভিজিৎ সরকার
অভিজিৎ সরকার ঝড় নিঃশব্দে ঢুকে পড়ে ঝড়ের গতি বৃষ্টি নেই, শুধু শুধু বুক জুড়ে ফুটে আছে রাতের অন্ধকারের কালো মেঘ। তবুও বেশ আছি ! বৃষ্টি তো চাইনি আমি শুধু চেয়েছিলাম প্রবল থেকে প্রবল ঝড়, যে ঝড়ে নিমেষে সব ছারখার
অমিত চক্রবর্তী
অমিত চক্রবর্তী গোধূলির উপাসনা বাক্যবাণ আর শব্দযান তার হাতে তুলে দিয়ে বলি, আসি এবার। অসামান্য আসলেই একটা ভীরু শব্দ, লুকিয়ে রাখে হিজিবিজি দাগ বা সময়ের দেয়ালে আঁকা তৎক্ষণাৎ বাদামি ম্যুরাল। আমাদের মনে আছে কিছু কিছু তাহাদের বাক্যগঠন, শোনা যায় ঈশ্বরপ্রীতি, বন্দনা, বা