কবি ও প্রাবন্ধিক দেবযানী দাস সিনহার জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৩ শে অক্টোবর বীরভূম জেলার কুরুমগ্রামে। বাবা সত্যরঞ্জন ও মা কণিকা দাস । পেশাগত জীবনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা ছিলেন। নেশা–কবিতা, নাটক ।
খুব ছোটবেলায় অকালপ্রয়াত দাদা দীপ্তেন্দুর অনুপ্রেরণায় ও বাড়ির পাশে লাইব্রেরির সহযোগিতায় সাহিত্যের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। সাহিত্যিক বাণী রায়ের সাহিত্যকৃতি নিয়ে বিশ্বভারতী থেকে পি এইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন।
প্রকাশিত হয়েছে তিনটি কাব্যগ্রন্থ। ‘মধ্যম পান্ডবী’, ‘দু এক পশলা’, ‘লেটার প্রেসের রূপকথা’ । লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় জীবিকা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ‘বাণী রায়: আগল ভাঙার গান’ — এই গবেষণা সন্দর্ভটি পুস্তকাকারে প্রকাশের অপেক্ষায়
হিরোয়াকি ইচিকাওয়া।
উনিশশো পঁয়তাল্লিশের ছয় আগস্টের পর শুনেছিল ।
তাদের মাটি বন্ধ্যা হয়ে থাকবে আগামী কুড়ি বছর ।
দেখেছিল, সকাল আটটা পনেরোর নিদারুণ সত্য ।
পুড়ে যাওয়া ইউনিফর্মে বুকের মধ্যে আঁকড়ে রাখা
আধখাওয়া ভাতের কৌটো ।
দেবশিশুর সমাধিতে তার আদরের ট্রাই সাইকেলটি।
অস্হি, মজ্জা করোটি জুড়ে জুড়ে, বারুদ গন্ধ পেরিয়ে,
আজন্মলালিত প্রিয় শরীরের নির্মাণ।
কিন্তু একদিন, ঝলসে যাওয়া রেলিং এর পাশে
নতুন যে ঝুপড়িটা তারা বানিয়েছিল—
তার ফাঁকা জমিতে সে দেখল,
জেগে আছে সফল বসন্ত ঋতুর একটি চেরিফুল।
বিষাক্ত স্কাইলাইনের নিচে বৌদ্ধস্তূপের প্রেয়ার হুইল—
কালের চাকার মতো ঘূর্ণায়মান ।
এই বন্ধ্যাকালে চেরিফুলের গুচ্ছের পাশে রাখা আছে তাঁর ত্রয়োদশ খন্ড,
ছায়াচ্ছন্ন প্রেক্ষাপটে উজ্জ্বল আলোর মতো
যেখানে অনির্বাণ জেগে আছে ‘সভ্যতার সংকট’ এর গভীর কথন ।