# ১
কাফি বেজে যায় সারাদিন
কাফি বেজে যায় সারাদিন …
তোমাকে ভাবলে
তোমার ছায়ায় হেঁটে যায় জলপায়রা …
মাছের ভেতরে শ্যাওলা ঢুকছে
শ্যাওলায় ঢুকে পড়ছে মাছেরা
ফড়িং উড়ছে সারাদিন …
তোমাকে ভাবলে
মুদ্রার ছবি আঁকছ …
এঁকে রাখছিলে সুষুম্নাবোধ, দৈবক
গিরিপ্রান্তর …
মেঘে মেঘে কত উত্তর দিক লুকনো !
অসংলগ্ন বিষধর …
সেসব বাঁচিয়ে
সারাদিন ধরে আকাশ দেখছ …
সারাদিন ভারি বৃষ্টি
হলুদ হলুদ কাফি বেজে যায়
সতর্কতায় কাঁপছি …
# ২
করতল তুমি
করতল তুমি ছায়াটির নীচে কেমনে পেতেছ ?
কোথায় মেধাবী হাঁস ?
কোথায় জলের নীচে ডুবে থাকা আনখ শিকারী ?
দেখি, মাছ খেলে। সন্ধ্যায় বৃষ্টির মতো ভেসে যায়
তার অন্ন জল বায়ু তার সবুজ নদীটি …
অতঃপর ভেঙে যায় আমাদের মেঘ
ভাবি, একে একে চলে যাবে আমাদের ধারা
কিন্তু, কিভাবে সে মারে
— এই ভেবে তোমাকে নিয়ে বসি —
যতটা শীতল তুমি
ততদূর মাংসের দোকান
আমাদের ফুলে ওঠে জিভ
আমাদের জীভে এসে ওভারি ঠেকে যায় …
# ৩
তোমার পিলু তোমার হত্যারা
তোমার পিলু তোমার হত্যারা
ঈষৎ ঘুরে আমার দিকে আসে
দেখছি তার গভীর ক্ষতস্থান
উচ্চাবচ… ঈষৎ যেন হাসে
হাসছে সারা ফুল্ল কুসুমেরা
হাসছে ছবি তোলার শেষ দিক
হাসছি আমি অবাঞ্ছিত দ্বিধা
যেভাবে খুন হয়েছে দ্বান্দ্বিক
এখন তুমি গুহ্য সাধনাতে
লিপ্ত থেকে শিখছ পুজো করা
বুঝতে পারি, সাধ্যাতীত ছিল
সম্ভাবনা, নিজের থেকে মরা
যাকাত জুড়ে মশাল জ্বলে থাকে …
মৃতের দেশে এসব বলা ভাল ,
মরার আগে মানুষ মেতে ওঠে
নষ্ট করে অস্ত্র , দিনকালও …
# ৪
সহজ করে লিখতে পারি
সহজ করেই লিখতে পারি
স্পর্শ বোধের পরে
উল্কাপাতের রাতগুলোতে
দগ্ধ গাছের আলোয়
দেখতে পেতাম নখের সারি
দেখতে পেতাম তোমার চলা
স্পষ্ট করেই লিখতে পারি,
যে কেউ হলে
চোখ দুটোকে খেত
কিন্তু, তুমি মুগ্ধ মাধব
লিঙ্গে ও ধর্মেও
লিখছি দু’হাত উপচে
গভীর সন্দেহ সত্বেও …