নীল নবঘনে
এক
আষাঢ় এলে আমার রমণের কথা মনে পড়ে।
ভালবাসার মানুষটি তখন ছড়ানো আকাশ…
আর, আমি তার বুকে ভেসে বেড়ানো
একখন্ড ভারী মেঘ।
যখন-তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা!
দুই
ঘোর বৃষ্টি ধেয়ে আসে! আর তখনই
ঘাটে এসে একখানা নৌকা লাগে।
তারপর, ‘উঠে এসো’ বলে
সে আমাকে ডাক দেয়।
বৃষ্টির ভিতর ফণা তোলে ঝড়!
নৌকা টালমাটাল, ওল্টায়-পাল্টায়…
তিন
বৃষ্টি এলে কিছু কিছু গাছ
ভারী সুন্দর ফুল পরে সাজে!
আবার , কোনো গাছের কাছে
বৃষ্টি একপ্রকার টনিক! যা তার
রোগা-পাতলা চেহারার গায়
পাতার মেদ বাড়ায়।
শুধু সেই বৃষ্টিটাই খারাপ, যে
ভেজাবে বলে কথা দিয়েও
ভুলে যায় পথ।
চার
রবি ঠাকুরের ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদল দিনে’
গানের বৃষ্টিতে চুপচুপ ভিজে যাই।
একটা গাছ যেমন দাঁড়িয়ে স্নান করে
তারপর থেকে আমার ভিতরে
সবুজের সমারোহ…
ফুল-আলো ফুটতে থাকে ডালে ডালে!
পাঁচ
বহু দূরে বসে মা, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
বাসন মাজছে…। একপরিবারের এঁটো।
শাড়ি ভিজে যায়; দুর্বল শরীর কাঁপে!
তারমানে, জল ঢুকছে জীবনের ভিতর…
আমি ছাতা হাতে ছুটে গিয়ে
আরুণী হই।