Email: info@kokshopoth.com
June 2, 2025
Kokshopoth

লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল-এর দুটি কবিতা

Feb 14, 2025

লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল-এর দুটি কবিতা

জন্ম ১৯৬৯। পেশা শিক্ষকতা। কবিতায়ই জীবন যাপন। বেশ কিছু গ্রন্থও প্রকাশিত। তাঁর নিজের ভাষায়ঃ

কবিতা মানে জন্ম, কবিতা মানে প্রেম, কবিতা মানে জীবন, কবিতা মানে মৃত্যু, এ’রকম বলা যেতেই পারে । সেকারণে জীবন, জীবিকা ও মানবিকতার একটি পূর্ণ অবয়ব হল কবিতা । কোন অবসর নয়, কোন সময় কাটানো নয়, তার জন্য চাই একাগ্রতা, ধ্যান । তখনই নীরব মননে বেজে ওঠে মন্ত্র, সুর। শিহরিত ইন্দ্রিয়ের অঙ্গ উপাঙ্গ । এর নামই মগ্নতা। এর মাঝেই হেঁটে চলেছেন আমার দাদু, ঠাকুমা – সেই বৃক্ষের ছায়ায় বিস্তারিত কবিতা।

দৃষ্টি ও ছায়া 

ঝড়ভাঙা গাছের ছায়ার সাথে দুলতে থাকে মাধবীলতার শোক  

 

হলুদ আলো আরো মরে যাওয়ার আগে নাবাল ঘেঁসে ছুঁতে চায় 

কালিখালের জল , কয়েক ঝোপ আবাসের গায়ে 

ধাক্কা খায় টেনে টেনে উঁচু করা বুক,  রোদ্দুর কমে সামন্ত পাড়ার বাঁকে 

যদিও ঝরাপাতার দিগন্তে পিচুটি চোখ আর কাজলের রং নিয়ে  মরশুমি

 ডোবায় স্যাঁতস্যাঁতে অসুখ

সে দেখায় লতাপাতা , সে পলকে মেঘের সংবেদন 

 

চোখ-গেল পাখির উত্তপ্ত নিশ্বাসে  আমার অভিমন্যু কথা  

সাত সাতটা দূরবীন একত্রে দেখতে থাকে

 একটা শোবারঘর , একটা নিঝুম কাঁদাল, একটা লড়াইখানা  

 

ভাঙা চিলেকোঠায়  গিরগিটির ঝাঁক 

মাধবীলতার রঙ চুমুক দিতে দিতে প্রবেশ করে চাঁদের ওয়েবসাইটে 

আবেগ ও পুরুষটি 

কনুইয়ের ভাঁজে আটকে থাকা ঘরের কথায় একফোঁটা জল পড়লেই স্পষ্ট হয় আলো  

 

যদিও মেঘের নিচে বাতাসের চোখ  ; উতপ্ত নিশ্বাসে  বত্রিশ ডিগ্রি ফারেনহাইট  –   শূন্যের মুখোমুখি  সুন্দরের প্রার্থনালয়  – খুঁজে পেতে হয়রান হচ্ছিল রোদ সহ্য করা মাথা যন্ত্রণার সেই আকাশকে  –    

আমারই শরীর তার সাথে ধানগাছ , পবিত্র সত্যের জন্য মরমি দিন –   চোখের সন্ধ্যায় ফুটে ধ্রুবতারা   

ছোট বড় কাঁটাগাছের মলাট খুলি , মেঘের অহংকারের নিচে মাথা তুলে দাঁড়ায় ঘাসের ধুসর  – নীলকণ্ঠ পাখির পাড়ায় টুনটুনি  ; স্নানের  সরস্বতী   

 

আবেগ নদী হয়ে গেলে সব কঙ্কালসার বুকও নৌকা হয়ে যায়