কী নামে চিনেছ তবে?
বলতে ইচ্ছে হয়, তোমাকে দেখেছি বিরহে ঘিরেছ মেঘ,
ধারণ করেছ সে রূপ অনতিক্রম্য,
কালো মেঘে তুমি কোনো নাম,
শুকনো কাপড় উড়ে গ্যালো যেই
আমিও স্থির- জল নেই, সেতু নেই, বাড়ি নেই
শুধু দুটো ডাঙ্গা, আমি জলের অসুখ এদিকে,
তুমি চেয়ে আছো, বালকের মতো বিহ্বল, একা,
মনে মনে শুধু নাম, নামের পাশে ফের কোনো নামে
উথাল পাতাল ঘর, পাগলপারা,
এ খাতায় লিখে রাখি, ও খাতায় ফের মুছি,
কত নাম আসে যায় অবেলার ডাল ভাতে
আঁচ শুধু বাড়ে কমে, তুমি স্থির স্নানঘরে,
এই মেঘে তুমি নেই-
কতদূরে মাটিপথ, গড়ে তুলি তিলতিল
শুকনো গলার স্বরে, দুচোখের গহ্বরে, বাসা বাঁধে দুটি পাখি,নাম দুটি খুব চেনা,
কানে কানে বলে যাও, বলে যাও, লক্ষীটি,
কতটুকু চিনলে না?
যদি বৃষ্টি হই
ট্রেনের জানলায় তুমি নেই
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি জমে আছে
তোমার গলায় নরম ধারা
আমি ছুঁয়ে দেব ভাবি অলীক সাহসে,
দুহাত থামিয়ে তোমাকেই আড়ালে দেখার শেষে
ঘাড়ের পাশের লাল দাগ।
তবুও তো তুমি নেই, এমন বৃষ্টিতে
কোথায় যে এত জল থাকে!
ভিজে একসা ট্রেনের শরীর
ট্রেনের টিকিট গুঁজে পকেটের ফাঁকে
তুমুল বৃষ্টিতে ভিজছ তুমি,
আমিও যে এত জল হই,
তোমাকে জড়িয়ে সর্বনেশে
প্রবল জ্বরের রাত, কিংবা, নাছোড় তোমার হই।