বিনির্মাণ
বদ্রিদাস লেন থেকে বৃষ্টিরা ফিরেছে আজ
জুলাইয়ের ১২, তুমি জমানো পশুর হাড় থেকে
সৌরলতার উদ্ভাস দেখেছিলে।
রাত্রিকালীন অন্ধতা শস্যবীজ হাতে দাঁড়িয়েছে
এভাবে এ শহর চূড়ান্ত হয় জিরাফে মধুকৈটভে
অধিকন্তু মধ্যযামে চাঁদের গহ্বর, যার
পাকস্থলী থেকে নামা রক্তপিণ্ড
বৃষ্টিতে ভিজেছে, তুমি
অনর্থক ভিজে ওষ্ঠ তুলে যত জটিলকে নিমগ্ন ও
অতিশয় করেছিলে
বৃষ্টিদের কারু আর স্থাপত্যের বিনির্মাণ ঘটেছিল
পয়ারকে যমসাক্ষী রেখে
মল্লার
মূর্ছনা গৃহীত হৃদি দেহভার পাহাড় পাহাড়
গুহাতে ঢুকেছে কেউ কেউ যত্র তত্র ভূমিহার
কাপাসের ফুল তপ্ত আয়ুষ্মান বায়ুযোগে ফাটে
মেঘ সঙ্ঘে ভেঙে যায় মল্লারের কিছুটা তফাতে
তফাৎ বর্ণিল হয় যদি তুমি দেবাজ্ঞা পালনে
ভূমিতে শয়ান হও ঘর উড়ে ধস্ত ঝাউবনে
ঘর তো বসত নয় বসত শূন্যের বাসা বাড়ি
অশূন্যে কুহক চলে নীলসাড়ি নিঙাড়ি নিঙাড়ি
চাদর চড়ায় আত্মা সকাতর দেহ খাঁচা কাঁপে
পক্ষী লক্ষীমেয়ে উড়াল দিও না অনুতাপে
উড়ালের দশ দিক দিক মাত্র মতিভ্রম ঘোর
ঘোরের চন্দ্রমা টানে চাঁদের শরীরে রাতভর
কী যে চলে কী যে হয় অমাবস্যা বিরহ জনিত
গলে যায় বিগলনে স্পর্শাতুর ধর্মবিরচিত
বজর নিপাত সহ বৃষ্টি ঘটে দুপাশে মল্লার
মল্লার ঘটিত হৃদি আষাঢ় ঘটিত মূলাধার
1 Comment
[…] বিজয় সিংহ […]