বর্ষা সংখ্যার অতিথি সম্পাদক রাধাবল্লভ চক্রবর্তীর কলম থেকে
এই সংখ্যা বর্ষাকেন্দ্রিক; স্বভাবতই, বর্ষার অনুষঙ্গ রয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট ঋতুকে কেন্দ্র করে সংখ্যা করা নিয়ে যেমন কথা উঠতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে সেই সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট লেখাকে সেই ঋতুর উদ্যাপন করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা, কোনও লেখাকে সীমাবদ্ধ করলে সেটি কতটা নিজের ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকে, থাকাটা সংগত।
তাই এই বৈপরীত্য নিয়েই আমাদের আয়োজন। ধন্যবাদ প্রত্যেক লেখক-লেখিকা এবং অন্যান্যদের যাঁরা কোনও না কোনওভাবে এই পত্রিকার সাথে যুক্ত।
যেটা গর্বের, এই সংখ্যার জন্য যে বিপুল সাড়া পেয়েছি, তা সত্যিই আশাতীত। কক্ষপথ কে আপন করে নেওয়ার আন্তরিকতায় এটাই আবার প্রমাণিত হোল, সাড়া পাবার যোগ্যতা কক্ষপথ নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও অর্জন করতে পেরেছে তার যাত্রাক্ষণ থেকেই। অবশ্য এই উজ্জ্বল লেখককুলের অগাধ ঔদার্য ই বোধ করি সর্বোচ্চ কারণ।
আমাদের দল নেই, সংগঠন নেই, গোষ্ঠী নেই, বিবাদ নেই, এজেন্ডাও নেই। আছে এক অদম্য ইচ্ছে, জেদ কাজ করার। বাংলা ভাষা-সাহিত্য নিয়ে নির্লোভ ও নির্মোহ হয়ে কাজ করার। এতে বাংলা সাহিত্যজগতে যে বিপ্লবসুলভ কিছু ঘটে যাবে তা নয়, কিন্তু, বাংলা ভাষার চরণে সামান্য যেটুকু পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সুযোগ পাওয়া যাবে, তা-ই বা হেলায় হারিয়ে দেওয়া কেন? সে সুযোগ ছাড়বই বা কেন?
1 Comment
পাঠকের সঙ্গে ভণ্ডামি বর্জিত সহজ সরল সরাসরি কথা খুব ভাল লাগল ভাই। তারুণ্যের সারল্য স্পর্শ করল