‘ধিরে, সুখ নাই।’ [ভুশার একমাত্র ঘোড়াটি গতরাতে চুরি হয়ে গেছে। কিংবা ধারণা করা যায়, এ মুষল বৃষ্টিতে ঘোড়াটির দুরন্ত শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়।]
‘কেন?’ —বলল ধীরেন্দ্র। আবার ধীরেন্দ্র কয়, ‘তোর থেকে ত্রি-দন্ত চতুর কেউ একজন ঘোড়াটির আজকাল খোঁজখবর নেয়।’
‘ধিরে, এখন কী করি?’ ‘যত দূর জানা আছে, তার কিছু তথ্য বের করি।’ [তথ্যে বেরিয়ে পড়ে, এ ভরা শ্রাবণে, তিনিও ঘোড়ায় চেপে হঠাৎই ছুটছেন নাকি সোমত্ত কৈশোরের দিনে।]
‘মাঝি, কোন ঘাটে ভিড়বে তোমার তরী?’ [নদীতীরে ধীরেন্দ্র আর ভুশা, তাদেরও শৈশবের দু’টি টিকিট যদি মেলে!]
মাঝি বলে, ‘আপনারা ব্যাটা নাকি ছেলে?’ এ ওর দিকে চায়, তারপর ধীরেন্দ্র বলে— ‘মুশকিলে পড়িলে ভুশা, মাঝিও মনের কথা রঙ ধরিয়ে বলে।’