# ১
অবশিষ্ট কথার ভেতর বাহন পড়ে থাকে
নিশুতি রাতের তারা ধরে ক্রমশ বিড়বিড়
প্রেমের দাঁতে সোনার ভাণ্ড : খনিজ শান্তি চিরে
দোল দেয় মেহুল সিতারে । বসতে বলে
রাখতে বলে মনজীর্ণতার ক্লেশ
সেই তো রূপোলী ছায়ার বেশ–
প্রিয় লতার মতন পেরেক পুঁতে দিলে
অবশিষ্ট কথার ভেতর বাহন পড়ে থাকে
বা হ ন । অ ব শি ষ্ট
উদ্ভ্রান্ত হরিণের মাংসে দাবানল
বৈঠকী অভিসার
চূড়ামণি স্তনের গঙ্গাজলে
কিঙ্কিণী ফুলের সমাহার
গজের ব্যথা, ভোর । সকাল সকাল এ দীর্ঘ পৃথিবীর বন
গুটিয়ে গুটিয়ে বুকের অর্ধেক ছিঁড়ে খেলো । কুশি
ভোমরা গেল যক্ষ্মাবনে
সাক্ষাৎ তোমার যৌবনের কালো সিঁড়ি : বেয়ে উঁকি দেবে ছলাৎ ছল
মায়ামেঘের তিতাস বল্লভ শীলাবতি ঘাট পেরিয়ে যাবে বল…?
# ২
যে রাত শাওন ডেকে আনে
গোলাপি ধুতরার কাছে পরাজিত মুখ
ডোমকে ভালোবেসে ফেলেছি
শিখেছি রাক্ষস যাপনের অনিমিখ প্রবেশ
কব্জি পর্যন্ত অসুখের তাবিজ
আমায় শেষ অব্দি রাত কাকে বলে বুঝিয়ে যায়–
রাতের সূর্যের ওপর আমি শুয়ে, আর আমার ওপর শকুন্তলার জ্যেষ্ঠ পিঠ…
# ৩
বেইজ
কোমলাঙ্গী দানবের চোখে মুখে জলদ চুমু
চুম্বন নয় নম্রচুমু–
উদাসীন পথের সদ্যজাত লাল টিপ
কিঙ্কর কিঙ্করে উন্মাদিনী জাগরূক
অস্বীকার করি, কেন অস্বীকার করি না…!
বুড়ো আঙুল ধরে বুলিয়ে নেওয়া প্রশ্রয়
ধীরে ধীরে গাঢ় হচ্ছে তুলতুলে মাটির শরীর
সব রঙ ফুটে ভিজে উঠছে বেইজ শিলা
ভ্রূভঙ্গে চন্দ্রাহত এমন দু’ফোঁটা ধারাজল
অঙ্গার মিশিয়ে অনাসক্ত বিসর্জনে :
আমায় তুই ভাসিয়ে নিয়ে যাবি বল !