# ১
কাঠের টেবিল আর
কাঠের টেবিল আর
ঘুরতে সক্ষম সহজ চেয়ার
তোমাকে কেন্দ্র করে — কেননা তুমি তো
টেবিলে আমার মুখের দিকে চেয়ে —-
তাই এই অবিরাম পাক
নিজের ও তোমার চারিদিকে —-+
একটি স্বতন্ত্র সন্ধ্যা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর শিরদাঁড়া সোজা করে
উঠে দাঁড়ায় —- জড়িবুটি খলনোড়া
হাঁপ ছেড়ে লেখে —- সাদা পাতা ছিঁড়েছ তুমি
অনেক কলমের নখ
নির্লজ্জ অসংযমে ভরেছ অক্ষর
আমাদের জামার নিচে গেঞ্জি ছিলনা একদিন
একদিন শিরদাঁড়া অনায়াসে
হলুদ পেয়ারা নিয়ে
ভেজা জামার লবণজারিত
আত্মখননের দুপুরে প্যান্টের উপর
এই দ্যাখো একে বলে সোডিয়াম ক্লোরাইড
আজ জড়িবুটি, খলনোড়া, শিরদাঁড়া
নানা উপাচারে স্বপ্নদোষে রিক্ত
অথচ নড়বড়ে কাঠের টেবিল ও পা ভাঙ্গা চেয়ার
এখনও উইপোকার সাথে ফিসফিস করে
আর তুমি পাশ ফিরে শুয়ে আছো – আমার
হাতাওয়ালা গেঞ্জিও অপরিহার্য হয়ে পড়েছে
# ২
চিড় খাওয়া ফুলদানির কিডনি
জল নামাবলী খুলে ফেলে—- কেননা স্বচ্ছতার নামে কোন ব্যবহারবিধি অথবা মেনোপজের সময়সীমা উল্লেখ করা ছিলোনা, কখন যে ভেঙে পড়ল তার সুরক্ষিত ঘরখানি….. অতঃপর এখন সে একজন বিরহ দহন জ্বালা এবং আমি এক নির্বিকার দর্শক, আমার কিছুই করার নেই, অন্তরাত্মা আমার মধ্যে একটি ‘পরিত্যক্ত এলাকা’ টাঙিয়ে রেখে চলে গেছে; হাঁড়িমুখ আর কাকও বিগত। আর এখানেই ঈশ্বর পাটনীর খেল শুরু, ঘাপটি মারা সুদের কারবারি, ডায়ালিসিস বিভাগের কর্মকর্তা তিনি, তাবৎ সুপার স্পেশালিটি তার করায়ত্ত, এদিকে মনে পড়ে গেল আজ শনিবার, সকাল থেকেই সাধ ও আশা না পুরনের টিকিট কেটে লাইন দিয়েছে তোমার থানইঁট এরপর টিকিট কেটে বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে। কাল মদনের দোকানে মার্ক সিট বিলি করবে স্বয়ং ঈশ্বর পাটনী।