জন্ম ১৯৫৭। শিক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তর। বিষয় দর্শন। জীবন বীমা নিগমের উচ্চ পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই কবিতা লিখছেন। প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো রঙের মানুষ (২০১৮) । দ্বিতীয় গ্রন্থ আলো আঁকি, ভালবাসা লিখি।
অসুখ
ধুয়ে যাচ্ছে অদ্ভুত নৈঃশব্দ স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রবহমান চিন্তা স্রোতের, এই স্বপ্ন যে রহস্যময় তা শত তমসার মধ্যেও জীবনের ধ্রুব সত্য, মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীর কাছে। পৃথিবীর মানুষ কে মানুষের মতো ভালবাসা দিতে গিয়ে দেখা যায় পৃথিবীর গভীর অসুখ, হেঁতালের বনে হঠাৎ নেমে আসে বোবা অন্ধকার, ভাঙ্গা হাটে বৃষ্টি চায় মেঘ, আকাশের তারা খসে পড়ে, ক্ষতি মৃত্যু, ভয় সব বিহ্বলতর মনে হয়। ।
সম্মোহন
সম্মোহিত সময়ে ভাঙন ধরে আসে, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ সব কেমন ছন্নছাড়া মনে হয়, এখনই একটা ঝড় চাই, শেষ হয়ে যাক এক একটি রাজত্বকাল, সেতু থেকে স্বপ্নের কুঁড়ি বাতাসে হারিয়ে যাক, কিছু পুড়ে যাক, ভুলে যাই রং আর রং এর সাজ, লোভ আর লালসার বাঁকা হাতছানি এড়িয়ে যাব । যে সময়ে এমন দৃশ্য বিদ্যমান, আমি সেই সময়্ কাটিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যাব, তারপর মনে মনে বলবে, কীভাবে এমন হল কেউ তো জানল না!!
এ কী লাবণ্যে
কথা ছিল চৈত্রের রঙে সাজাব বন্ধু বিকেল, আনন্দের এক বিকেল, তারপর সান্ধ্য তর্পণ শেষ হলে, শরীর ছাপিয়ে উঠবে অনুভব, রেখে দিয়ে যাব ছোট তৃণাঙ্কুর সুখ, অতি লাবণ্যে প্রাণ পূর্ণ করে নামবে জ্যোৎস্না, তখন মাধবীলতারা ঝাঁপিয়ে পড়বে গাঢ়তর স্রোতে, তৃপ্তিতে একটু একটু করে নিভে আসবে দৃষ্টি, এগিয়ে আসবে শ্বাসখোলা স্বপ্নিল বাতাস, বয়ে যাবে সোনালি নৈঃশব্দ আর ছায়াসঙ্গমের গুঞ্জন।নির্বিকার সময়ে আলোর ছন্দে একান্ত আনন্দ যত, তাদের সাথে চিন্তার তরঙ্গে কথা বিনিময় হবে আমার।