শূন্যবন্দর
ভোর দিলে এমন উজ্জয়িনী, ভাঙবে না কেন যে জঠর!
রোদ পেলেই শিশুমৃত্যু, মাতৃজ্বালা, যুবতিকালে ঘোর…
তন্দ্রা হয়ে জন্ম হয়ে প্রজাপতি পঙ্গু হয়ে আসে
এ হাত থেকে ও হাত নদী, এ দেশ থেকে ও দেশ করাল গ্রাসে
সেই পুরনো রাঘবপুরে কলকেফুলের জীবনমুক্তি হয়
শব তাকে জানাতে পারে না, শব তার স্রোতের প্রণয়
সামান্য দূরের দাহঘাট বেদিমূলে চন্দন করে
সহচরী যদি ডুবে যায় নর্মকাল মুগ্ধ সহচরে
তবে তো গহন বড় ভালো; গহনে সকল জ্বালা কাটে
উজ্জয়িনী স্পর্শ অভিলাষ। আমরা যাই সুরধনী ঘাটে?
কাজল
পাথরের মধুকর তুমি, চিনেছ তো হংসের চোখ?
পাথরের মধুকর তুমি ঝ’রে পড়া নোহুর পালক
আমার একান্ত পথে পথে, পথ চিনে একা কেন যাবে?
নক্ষত্রযৌবনফুল ঘিরে ধরে আদর স্বভাবে।
আমি নই স্বর্গের পাখি; তুমিও কি মক্তবের রাত!
সঙ্গ করেছি কোনোদিন, কল্পনায় এমন আয়াত
লিখেছি তোমারই পাশে ব’সে। তুমি কি জানো না বলো সই?
আদরমণি পাথর দিল ডাক— চৈ চৈ… চৈ চৈ চৈ…