গোধূলির উপাসনা
বাক্যবাণ আর শব্দযান তার হাতে তুলে দিয়ে বলি,
আসি এবার। অসামান্য আসলেই একটা
ভীরু শব্দ, লুকিয়ে রাখে হিজিবিজি দাগ বা
সময়ের দেয়ালে আঁকা তৎক্ষণাৎ
বাদামি ম্যুরাল। আমাদের মনে আছে
কিছু কিছু তাহাদের বাক্যগঠন, শোনা যায়
ঈশ্বরপ্রীতি, বন্দনা, বা সিনেমার পর্দা জুড়ে
প্রশস্ত খোলা নদী, তার উদাত্ত গলায় গান,
এইসব চুমুচুরি, এইসব শব্দ নিয়েই তাহাদের সঞ্চার।
সনেট লিখেছি আমি অনেক শস্য নিয়ে, শবরী নিয়ে,
না-বলা কথাও বাকি নেই কিছু, দ্বিতীয় সত্য
পাথরের নিচে সেও তো চাপা পড়ে আছে, পাংশু মন,
তোমরা বলবে এতো চেনা গান, স্রোত, ফল্গু।
অহংকারের জন্মদাগ
বাজপাখি এবং ঈগল দূরে, হালকা হরিণশিশু, পশম বেশি
মাংস কম, যোগ শিখেছে, এক শিকারী, দুই শিকারী।
মৃত্যুর ট্রেসপাস। নিষেধাজ্ঞা শোনেনি সে, এখানে
পার্কিং বারণ, খালিপায়ে হাঁটা বারণ, ভাগ্যকে আঁকড়ে ধরে
তার অস্থিসার দেহ, নির্বাণ লোভ, আর একবার খুঁজে মরে
অহংকারের জন্মদাগ, সুখনিধান।
স্থিতিস্থাপক স্প্রিং এবার
টুঁটি আলগা কর, অশাসিত মনকে দাও বিশুদ্ধ ধমক,
একফালি নিশ্বাসের দম্ভ, তারপর অন্ধ আবার
নিয়তির পাশা, পুনরায় বাজি রাখি
ধানপাট, চাষবাস,
হৃদয়, যকৃৎ, ওডিকোলন।