দৃশ্য
একটাই মাত্র কাজ। আমাকে পাঠানো হয়েছিল এই বধ্যভূমিতে
যে প্রকাণ্ড দরজার ওপারে নিশীথ, তার গায়ে ধাতুর নিকষ রঙ ছায়া ফেলে আছে
স্তব্ধ ঝাউয়ের দেশে অক্টোপাস এসে যদি ফিরে যায়, যদি
ছায়ার ভেতর থেকে কয়েক মুহূর্ত পর
শুষে নেয় এই বালির লাঞ্ছনামাখা পাতার জ্যামিতি, প্রকৃত জালিকা
তারপর বালিয়াড়ি জুড়ে, শূন্যতার জল ও লহরে
ফুটে উঠবে যুদ্ধক্ষেত্র। সমস্ত যুদ্ধের শেষে
নিভন্ত তারার হাহাকার
সেই হাহাকার নিশ্চয় ঠোঁটে ধরে বয়ে নিয়ে যাবে বরফের পাখি
বরফের গাছে বরফের পাতা; হাওয়া দেবে দিগন্তের দিকে
কিন্তু তার আগে আমাকে বন্ধ করে যেতে হবে ডালা, কফিনের
পাশে শোয়ানো কফিন…
সে অন্ধকারে তোমার মুখ আমি ছুঁতেও পারব না; যন্ত্রণা এটিই
সমস্ত কান্নার উৎস এটিই
চলচিত্র
চলচিত্র পরিণামময়। বিষাদের পাতা ঝরবে বিকেলের বুকে; ক্রমশ ফুরিয়ে আসবে
শালবন… সেই শূন্যতায় জলের বাঁ’পাশে
১ একবার জ্বলে উঠে নিভে যাবে ভলক্যানো
২ নদী শুকিয়েছে, আর নৌকা হাহাকার করে
৩ অন্ধকার, বিরাট নীলাভ ক্ষেতে ঢলে পড়ছে শেষ তারা
৪ ফুরানো ক্যামেরা, অদৃশ্য পোকার কামড়ে মুছে যাচ্ছে সমান্তরাল, ধাতুর শরীর
৫ পরিচালকের ঘুমে ছায়া ফেলে গেছে পাখি
দূরে আরও কোনও এক ক্যামেরার দিকে ফুটে আছে এসব দৃশ্য
1 Comment
[…] পার্থজিৎ চন্দ […]