বাসাংসি জীর্ণানি
রমণী নতুন তার ওষ্ঠে নাম মধুবাসনার –
তোমাকে নতুন নামে ডেকে উঠল যেই
লক্ষ পায়রা উড়ে গেল,
বক্ষে বক্ষে মধুতর দোল!
বুঝি বক্ষ খসে পড়বে ওর মধু কালচক্ষে দেখে?
নাকি চক্ষু অন্ধ আর বন্ধদ্বারে ঘোরস্বভাবিনী
ওকেও শিখিয়ে দেব
ক্লান্তি মোর রাত্রি মোর বঁধুয়াকীর্তন শেষে
গুণে নেওয়া কাজ শুধু বায়না যেক’টি এল
নতুন পালার
এনকোর এনকোর ক্ল্যাপ
হ্যাজাকবাতির নীচে ‘প্রাণেশ্বর’,
মেতে উঠবে ডিহি সুতানুটি!
কামিনী নূতন, তাকে কানে কানে বলে দেব
হ্যাজাক ঈশ্বরসত্য, প্রাণ তাঁর সে তালি জুড়ায়?
তোমাকে ঈশ্বর করে ওটুকু প্রণয়সিদ্ধি
যেমন আমারও ঘটে
শতক শতক পার নতুন লেখায়
বাস্তু
জেনো এই মিশে যাওয়া
প্রায় মৃত্যু একতরফা
জেনো এই মনে মনে মাথা খুঁড়ে জেতা ফের, ম্যাটিনি টিকিট জেনো, সকলই আছিল
ভুলে থিতু হওয়া পাঁচের দশক
দুটি অন্ন এই, ‘ছি ছি!’ এই
জেনো ‘আর কখনও যাব না, ভুল’,
বলতে বলতে সীমাভাগ
যে বান্ধবা অবান্ধবা তে তৃপ্তিং অখিলাং
জেনো যত ফিরে এসে অন্ধকারে
আলোবর্ষ পার করা
হাতড়ে মরা দেবশর্ম্মণঃ স্মৃতি দেয়ালের তাকে
সেসবও কিছুই আর এত পরে
প্রেম নয়,
স্রোতের ওপারে ভেজে জন্মদেশ
এপারে কে যেন কাকে
‘মরো মরো অশান্তি জুড়োয়’ নামে চিরদিন কণ্ঠ ভেঙে ডাকে