Email: info@kokshopoth.com
August 18, 2025
অমিতাভ সেন

ভেজাল জল

Apr 24, 2025

অমিতাভ সেন-এর কবিতাগুচ্ছ (A bouquet of poems by Amitava Sen)

জন্ম: ১৯৬৮।

‘রেখায় লেখায় : ইতি অমিতাভ সেন ‘ (২০১৯), ‘ছড়া জোড়া মন’ (২০২০), ‘চতুর্দশপদী অন্তরিন ‘ (২০২১), ‘চতুর্দশপদী ক্রমবর্ধমান ‘ (২০২২), ‘আজানে আহ্নিকে ‘ (২০২৩), ‘ঝরে জল ‘ (২০২৩),  ‘ফারাক ‘ (২০২৪) — সাতটি পদ্য গ্রন্থে অমিতাভ সেন নানা পথে যাত্রারত। ‘রোববার ডিজিটাল ‘, ‘বান্ধবনগর’, ‘কবিতা বুলেটিন’, ‘আবহমান বাংলা ওয়েব পত্র’, ‘চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম ‘, ‘বল্মীক’ ইত্যাদিতে এ যাবৎ অমিতাভর পদ্য আলোচিত ও প্রকাশিত। ‘The Antonym – Global Literary Magazine ‘ – এ প্রকাশিত ওঁর অনূদিত ছোটগল্প ‘ Raghunandan’s Death Report’।

# ১

ভেজাল জল

জীবন যখন জন্মে, মরে সহজে

কী করার আছে মানুষের সেক্ষেত্রে !

বলক ওঠা দুগ্ধ স্রেফ বক্ষ্যমাণ ;

 

গা ঝেড়ে তাড়ায় ভেজাল জল, যত

কাক-শালিখ জুটেছে ন্যাড়া শাখের 

ঘাড়ে, মোয়াজ্জিন স্বরে খরম্লানিমা

ছাদ ছুঁয়ে থিতু, পাচার হবে ডেরা 

এবে, সম্ভাবনার সনির্বন্ধ গতে।

 

কুয়াশাবাখানে আগাপাছতলার 

হদিসও মিলবে না জেনে, মানুষ 

কেড়ে খায় ভাষা, জলহাওয়াবন 

যে-ভাষায় বলেছে কথা এতকাল।

 

# ২

সংবর্তে

ঘুমে জেগে ওঠে … সূর্যঘড়িঘর,

বুকভরা বাঁওড়ে … একলা নাও

                       সত্তমা, সংবর্তে …

 

ট্রেনের জানালায় … জড়ো হওয়া

আধখ্যাঁচড়া রাহি … হতোদ্যম যে

                      বিকেলে, দুপুরে …

 

তারা তবে কারা … জন্তুজানোয়ার,

না হাঁড়ি-কাওড়া … যে পেড়ে ফেলেছে

                     সৌত্র, এক ঘায়ে … !

 

স্তবশ্রান্ত ক্ষত্র … ভীত ক্ষপণক

ঘরে ফেরে … বেচে মিথ্যে বেশুমার, 

                       রাখে খুলে দ্বার …

 

 

# ৩

কথোপকথন

‘কী হয়েছিল?’ … ‘বয়স।’

— স্বাভাবিক কথোপকথন; অশীতিপর জননীর মৃত্যুসংবাদে

 

‘পোস্টার না ছবি?’ … ‘বোঝা দায়।’

— স্বাভাবিক যে কথোপকথন; শিল্পপ্রদর্শনী চেখে রসিকদের 

 

‘গান না স্লোগান?’ … ‘কোনোটাই তো না।’

— স্বাভাবিক যে কথোপকথন; নাট্যকর্মশালা শেষে নবিশদের

 

‘বিসজ্জন কিসের?’ … ‘কেন ঢাকঢোলের।’

— স্বাভাবিক কথোপকথন; বিছানায় প্রায় ঘুমে ঘোর দম্পতির 

 

ঘনীভবনে জমে না 

     আর কথোপকথন, 

প্রশ্নের পিঠে উত্তর 

     ব্যস ব্যস, আর কেন?

 

 

# ৪

বিয়োগ

খোলতাই প্রচ্ছদে

         ঝরার মুখে,

ঘরটা পড়ে আছে

         ঘামের ঘোরে।

 

পুরোনো কিছু তবু

         ভাঙতে হবে,

স্বভাব মজ্জাগত,

          মহল, বাড়ি।

 

বিশল্য যে বেড়াল 

           নিপুণ বসে,

তকলিফ সংরোধে 

            কেদারা জুড়ে।

 

নেচে নেচে নিজের 

            ছায়ার সাথে,

জাগায় জাদু ইটে 

             বালিকা শ্যামা।

 

দুঃসহ পথভ্রম —

             বিবিক্তি মানি,

যোগের সম্মিলনে 

             চেয়ে বিয়োগ।

 

জীবন সমাপন 

             দ্রুত তো নয়, 

লয় যে সংগ্রামের 

              মাপে সময়।